27 views
0

মধুপুর অঞ্চলের মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য লিখ?

root Answered question January 10, 2025
0

মধুপুর অঞ্চলের মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের মধুপুর গড় অঞ্চলের ভৌগোলিক অবস্থান ও ভূমির ধরন অনুযায়ী নির্ধারিত। এই অঞ্চলের মৃত্তিকা সাধারণত লাল মাটি বা লালাভ-বাদামি রঙের, যা বিশেষ বৈশিষ্ট্যযুক্ত। মধুপুর অঞ্চলের মৃত্তিকার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
1. রঙ:

  • মধুপুর অঞ্চলের মৃত্তিকা সাধারণত লাল, লালচে-বাদামি বা হলুদাভ রঙের। এতে উচ্চমাত্রায় লৌহ অক্সাইড থাকে, যা মাটিকে লালচে রঙ দেয়।

2. গঠন:

  • মাটি সাধারণত দানাদার বা বালুকাময়। তবে কিছু এলাকায় এটি মাটির নিচের স্তরে বেশি শক্ত বা কঠিন হয়ে থাকে (প্যাঞ্জ নামক স্তর)।

3. জৈব পদার্থের অভাব:

  • মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ কম, যা কৃষিকাজে সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি করে। তাই জৈব সার প্রয়োগের প্রয়োজন হয়।

4. পানি ধারণ ক্ষমতা:

  • এই মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কম। ফলে শুষ্ক মৌসুমে মাটির আর্দ্রতা কমে যায়।

5. উর্বরতা:

  • মাটি স্বাভাবিকভাবে উর্বর নয়। তবে সঠিক পরিচর্যা এবং সার ব্যবহারের মাধ্যমে উর্বরতা উন্নত করা সম্ভব।

6. অম্লত্ব:

  • মধুপুর গড়ের মৃত্তিকা সাধারণত সামান্য অম্লধর্মী। মাটির পিএইচ মান ৫.৫ থেকে ৬.৫ এর মধ্যে থাকে।

7. লৌহ ও অ্যালুমিনিয়ামের প্রাচুর্য:

  • মাটিতে লৌহ ও অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইডের উপস্থিতি বেশি। এটি মাটির রঙ এবং গঠনে প্রভাব ফেলে।

8. ভূ-উপরিস্থিত স্তর:

  • মাটি সাধারণত শক্ত এবং শক্ত স্তর (প্যাঞ্জ) ভূমির নীচের দিকে থাকে, যা মাটির নিচে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে।

9. কৃষি উপযোগিতা:

  • এই অঞ্চলের মৃত্তিকা তুলনামূলকভাবে শুষ্ক ফসল, যেমন: আনারস, কলা, পাট, এবং কিছু শাকসবজি চাষের জন্য উপযুক্ত।

10. কাঠামোগত বৈশিষ্ট্য:

  • মাটি শক্ত হওয়ায় ইট তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এই অঞ্চলে ইটভাটার উপস্থিতি বেশি দেখা যায়।

মধুপুর অঞ্চলের মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য স্থানীয় জলবায়ু ও ভৌগোলিক অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে এ অঞ্চলে কৃষি উন্নয়নের জন্য মৃত্তিকার সঠিক ব্যবস্থাপনা ও জৈব পদার্থের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

root Answered question January 10, 2025
You are viewing 1 out of 1 answers, click here to view all answers.